Translate

Sunday, 27 January 2019

আমার জম্মভুমি রাঙ্গুনিয়া সরফভাটার ইতিহাস

আমার জম্মভুমি রাঙ্গুনিয়া সরফ ভাটা আদি নাম ভাটির চর।সরফ  ফার্সি শব্দ।বাংলা  অর্থে মদ।অর্থাথ সরাফের ভাটি।পুড়ামুড়া বা রোয়াং মুড়া ভিন্ন অর্থে রোসাং রাজার পাহাড়।তুরস্কের বংশোদ্ভুত রোসাং রাজা আরকান রাজ্যে সরফ ভাটা ইসকুল পাহাড়ে  চাকমা রাজার অনুমতি নিয়ে স্বীয় রাজত্ব শুরু করেন।সপ্তদশ শতাব্দীতে রেসাং রাজা ইউরোপে সরফ ভাটার উৎপাদিত চোলাইি মদ রপ্তানি করে বিশাল বাজার দখল করে।চট্রগ্রাম বন্দরে মদ রপ্তানি শুল্ক দিয়েছে রোসাং রাজা।সরফ ভাটার পাহাড়টি ঢোরাকাটা স্হাপত্য নির্দশন ভারতীয় স্হাপত্যশৈলীর এক অসাধারন গাথু্নি।পাহাড়ের পশ্চিমে সুবিশাল সিঁড়ি দিয়ে রাজা কর্ণফুলী নদীতে জাহাজে করে ভারত তথা ইউরোপে গমন করতেন।সিঁড়ির ধংসাবেশ মাটি ১০ ফুট গভীরে এখনো বিদ্যমান।কবি আলাওল পাহাড়ের পাদদেশে পহেলা বৈশাখে কবি গানের আসরে আসতেন।পদ্মাবতী কবিতায় কবি সরফ ভাটা কে নিয়ে বর্ননা করেছেন দক্কিনের এক পুরী স্বর্গের অবতরি,সরফ নাম তার।শাহ সুলতান তুখলঘি সরফ ভাটা কিছুদিন শাসন করেন।তবে হযরত শেফায়েত উল্লাহ শাহ (ভালুকিয়া শাহ)ছয়শত বছর আগে পবিএ মক্কা নগরী থেকে মিরের খীল নামক এলাকায় পাহাড় শীর্ষে গভীর জংগলে আগমন করেন।ইসলাম প্রচারে তিনি  এ অঞ্চলে প্রথম ব্যক্তি বলে ইতিহাসে প্রতীয়মান হয়।সরফ ভাটায় মজুরী পাড়া রয়েছে যাহা রোসাই পাড়া হিসাবে রোসাং রাজার শ্রমিক হিসাবে কারখানায়  কর্মরত ছিল।কর্ণফুলীতে কুড়িয়ে পাওয়া কষ্টিপাথরেরর মূর্তি রোসাংরাজার বলে ইতিহাসবিদরা মনেকরেন।বর্তমানে মূর্তিটি বেতাগিতে বৌদ্দ মন্দিরে সংরক্ষকন আছে।সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমদ চৌধুরী সরফ ভাটা ইসকুলের পাহাড়ে অবকাঠামো নির্মানে তাম্র শিল্প,সোনার হরিন,ঢাল তলোয়ার যা মগি ভাষায় লিপিবদ্ধ  কিছু প্রত্ন সম্পদ উৎখনন করেন এবং পরিষদে সংরক্ষণ  ছিল ১৯৬১ সালে।সরফ ভাটার কোন কোন এলাকায় নূলকূপ স্হাপনে মাটির গভীরে জীবাশ্ম  পাওয়া গেছে যা প্রতিয়মান এটি প্রবাহমান নদী বা চরান্চল ছিল।তবে এখনো স্হানভেদে লবনাক্ত পানির সন্ধান পাওয়া যায় খয়রাতি বিলে  গভীর নলকূপে চাষাবাদে।সরফ ভাটার দক্ষিণে বোয়ালখালী সীমান্তপথে আরকান রাজার একটি যুদ্ধ বিগ্রহের সুড়ঙ্গ  বিদ্যমান আছে যা বাড়ুরের গর্ত হিসাবে পরিচিত।এই সুড়ঙ্গে দিল্লির প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে পলাতক হয়ে আসা শাহ সুজাক সুখবিলাস চাকমা রাজার প্রাসাদ থেকে ধরে এনে হত্যা করে আরকান সামন্ত রাজা।(সূএ ড, আহমদ শরিফ)
 শাহ দীঘি, শাহের বিল  , শাহ্ সুলতানের তালুক হিসাবে খ্যাত।সরফ ভাটা মারমা পল্লী( বড় খোলা পাড়া)  রোসাং রাজার মানব কোজন বা সমগোএীয় আদিবাসী বলে ইতিহাস জানান দেয়।তিন দিকে নদী,একদিকে পাহাড়ে ঘেড়া সরফ ভাটা  বিস্তৃত এলাকা  এখন আধুনিক সরফ ভাটায় প্রবেশ করেছে।আদিবাসীদের বৈচিএপূর্ন জীবনধারা অস্মপ্রদায়িক সংস্কৃতির এক নোতন মেলবন্দন সমাজ সংস্কৃতির আবাহ ফুটে উঠে।বড় খোলা আদিবাসী পল্লী এখন পশ্চাদপদ জনপদ নয়।সভ্যতার লালনে বিশ্বের সকল সংবাদ  বড়খোলার বাসিন্দার নখদর্পনে।আগে ঊপজেলা সদরের ঘটনা বহুল সংবাদ  পৌছঁত এক সপ্তাহ পড়ে।আজ মুক্তিযুদ্দের সেকেন্ড ইন্ডিয়া হিসাবে পরিচিত বড় খোলা পাড়া সভ্যতার এক নতুন নিরিখে বিবাহ সহ আদিবাসী সংস্কৃতির লালন হচ্ছে । সরফ ভাটার বৈচিএের মধ্যে ঐক্যের সম্ভবনা চলছে।

কালেকশন এনায়তুর রহিম 

No comments:

Post a Comment