Translate

Monday, 28 January 2019

নিজেকে বদলেছি, স্বপ্ন বদলাইনি : জ্যাক মা

নিজেকে বদলেছি, স্বপ্ন বদলাইনি : জ্যাক মা

   
জ্যাক মাবিশ্বখ্যাত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আলিবাবার প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন জ্যাক মা। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, আমি আবার শিক্ষার জগতে ফিরে যেতে চাই। বারবার ব্যর্থ হয়েও ৪২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি। গত ২০ আগস্ট আফ্রিকার তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিয়েছেন ব্যতিক্রম এই চীনা ব্যবসায়ী। কেনিয়ার নাইরোবিতে দেওয়া বক্তৃতাটি আজ থাকল স্বপ্ন নিয়ের পাঠকদের জন্য

আমি সব সময় বিশ্বাস করি, যদি দেখেন আপনার সামনে এগোনোর পথ তৈরিই আছে, তার মানে আপনি দেরি করে ফেলেছেন। উদ্যোক্তাদের কাজই হলো নতুন পথ আবিষ্কার করা। যদি সবকিছু আমার হাতের কাছেই থাকত, তাহলে হয়তো আলিবাবার জন্ম হতো না। আমার কাছে টাকা ছিল না, বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনবার অকৃতকার্য হয়েছি, মা-বাবা খুব দরিদ্র ছিলেন, মোটকথা সামনে কোনো সুযোগ ছিল না। আফ্রিকার অবস্থাও একই রকম।

১৯৯৪ সালে যখন আমি ব্যবসা শুরু করি, তখন অনেকেই বলেছিল, জ্যাক মিথ্যা কথা বলছে। ইন্টারনেট বলে কিছু নেই। আমি আমার প্রতিষ্ঠানের নাম নিবন্ধন করতে গেছি। সেখানকার কর্মকর্তারা বললেন, তুমি কী ধরনের প্রতিষ্ঠান চালু করতে চাও? আমি বললাম, হানজো ইন্টারনেট কনসাল্টিং কোম্পানি। তাঁরা বললেন, ইন্টারনেট? আমাদের অভিধানে এ রকম কোনো শব্দ নেই। তাঁরা আমার প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত যখন আমি আমার প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন করলাম, চীনে তখনো ইন্টারনেট ছিল না। আমার প্রতিষ্ঠান চালু করার তিন মাস পর চীনে ইন্টারনেট এল।

আমি মিথ্যা কথা বলিনি, সেটা প্রমাণ করার জন্য টেলিভিশনের লোকজনকে আমার বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। মনে আছে, ব্রাউজারে প্রথম পৃষ্ঠাটা ডাউনলোড হতেই সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছিল। সত্যি! তখন কেউ ইন্টারনেট বিশ্বাস করত না, ই-কমার্স বিশ্বাস করত না। কেউ ভাবতেও পারেনি, চীনে ই-কমার্স সম্ভব। কোনো কারিগরি সহায়তা ছিল না, ক্রেডিট কার্ড ছিল না।

এখন আফ্রিকাও একই রকম প্রশ্নের মুখোমুখি হয়। কীভাবে তোমরা ই-কমার্স চালু করবে? তোমাদের তো ক্রেডিট কার্ড নেই, কারিগরি সহায়তা নেই, সরকারের উদ্যোগ নেই, তোমাদের তো কিছুই নেই। আমি বলি, এটাই তো সুযোগ! উদ্যোক্তা হিসেবে আমরা কখনো অভিযোগ করতে পারি না। অভিযোগ তো লোকে করবে, আমাদের প্রতিযোগীরা করবে।

আফ্রিকার তরুণদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন জ্যাক মাআমার অ্যাপার্টমেন্টে যখন ১৭ জন সহযোগী নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম, আমাদের লক্ষ্য ছিল অনেক বড়। বলেছিলাম, আমরা পৃথিবীর সেরা ১০টা ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইটের মধ্যে অন্যতম হব। বলেছিলাম, আমাদের প্রতিষ্ঠান অন্তত ১০২ বছর টিকবে। অথচ তখনো জানতাম না, পরের মাসের বেতন কোথা থেকে দেব। চোখে স্বপ্ন থাকলে নিজেকে কখনো দরিদ্র মনে হয় না। আমরা বলিনি, কাল আমরা জিতব। বলিনি আগামী বছরের মধ্যে আমরা সফল হব। বলেছিলাম, আগামী ২০ বছরের মধ্যে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাব। আলিবাবা প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পেরিয়েছে। হ্যাঁ, এখন আমরা বিশ্বের সেরা ১০টি ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি। ১৯ বছর আগে কেউ ভাবতেও পারেনি, চীনের একটা প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সেরা ১০ প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের একটি হতে পারে। আপনাদেরও বিশ্বাস করতে হবে, আগামী ১০ বা ২০ বছর পর আফ্রিকায় ১০ থেকে ২০টি আলিবাবার মতো প্রতিষ্ঠান হবে। আপনারা যদি স্বপ্ন না দেখেন, কাজ শুরু না করেন, তাহলে কখনোই এটা সম্ভব হবে না।

আফ্রিকার বিপুল জনসংখ্যার অধিকাংশই তরুণ। আমার বন্ধু ড. কাটোয়ি বলেন, প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ তরুণ এখানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে চাকরি খুঁজছেন। এই তরুণেরাই তো আপনাদের সম্পদ। আলিবাবা যখন লোক নিয়োগ দেওয়া শুরু করেছিল, কেউ আমাদের প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে চাইতেন না। বলতেন, আলিবাবা—এ আবার কেমন নাম! তার ওপর অফিসটা একটা অ্যাপার্টমেন্টে। ই-কমার্স ও ইন্টারনেট কেউ বিশ্বাস করত না। অতএব হাঁটতে পারার যোগ্যতা থাকলেই আমরা যে কাউকে নিয়োগ দিতে প্রস্তুত ছিলাম! ব্যাপারটা এমন, তোমার স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আছে কি না, তাতে কিছু আসে যায় না, তুমি আমাদের কথা বিশ্বাস করলেই হলো! আমরা শূন্য থেকে শুরু করেছি। প্রথম ১০ বছর খুব কঠিন সময় গেছে। কারণ আমরা গ্রাহক পাইনি, ভালো প্রকৌশলী পাইনি, ব্যাংকের সহায়তা পাইনি। অতএব পাই পাই করে খরচের হিসাব রাখতে হয়েছে।

২০০৭ সালে হংকংয়ে আলিবাবা যখন প্রথম আইপিওতে গেল, অনেক মিলিয়নিয়ারের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হলো। আমি আমার সেসব বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা, তুমিই কেন মিলিয়নিয়ার হলে? তুমি বাকিদের চেয়ে বুদ্ধিমান বলে? তারা বলল, ‘না না! আমরা তো একটা চাকরির যোগ্যও হয়ে উঠতে পারিনি।’ বললাম, তোমরা কি পরিশ্রমী? তারা বলল, ‘হ্যাঁ। তবে আমরা আমাদের চেয়েও পরিশ্রমী লোকজনকে আমাদের দলে নিয়েছি।’ সেই ‘আরও পরিশ্রমী’ মানুষগুলোও কিন্তু মিলিয়নিয়ার হননি। আমরা স্রেফ নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছি, নিজের স্বপ্নের ওপর বিশ্বাস রেখেছি, একসঙ্গে কাজ করেছি। আমরা এই জায়গায় পৌঁছেছি, কারণ কেউ আমাদের চায়নি।

আমি সেই লোক, যাকে ৩০টির বেশি প্রতিষ্ঠান ফিরিয়ে দিয়েছে। প্রত্যাখ্যাত হওয়া আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সবার কাছ থেকে ‘না’ শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম।

মানুষ কেন আপনাকে সাহায্য করবে? মানুষ আপনাকে সাহায্য করলে সেটা অস্বাভাবিক। কেউ আপনাকে সাহায্য করবে না, এটাই তো স্বাভাবিক। সাহায্যটা আপনাকে অর্জন করে নিতে হবে। আলিবাবার আরও ১৭ জন সহপ্রতিষ্ঠাতাকে অনুপ্রাণিত করতে আমি কিছু কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম, আমাদের প্রতিযোগীরা খুব শক্তিশালী। সে সময় আমাদের প্রতিযোগী ছিল ইবে। ইবে-তে এমন অনেক লোক কাজ করতেন, যাঁরা হার্ভার্ড থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। আমরা কোথা থেকে পাস করেছি? নাম বললে চিনতে পারবেন না, অতএব আমি বলতেও চাই না। তো আমি বলেছিলাম, আমরা যদি সফল হতে পারি, তাহলে চীনের ৮০ শতাংশ তরুণই সফল হতে পারবেন।

অনেকের স্বপ্ন আছে, কিন্তু তাঁরা পরিশ্রম করেন না। অনেকে পরিশ্রম করেন, কিন্তু তাঁদের কোনো স্বপ্ন নেই। উদ্যোক্তাদের মধ্যে দুই-ই থাকা চাই। স্বপ্ন দেখতে হবে, পরিশ্রমও করতে হবে। তাহলেই আমরা জয় পাব।

ওই সব বিশেষজ্ঞের কথা শুনবেন না, যাঁরা বলবেন এটা কোরো না, ওটা কোরো না। আপনাদের চোখ তো ভবিষ্যতের দিকে। ভবিষ্যতে কী হতে যাচ্ছে, সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারবে, পৃথিবীতে এমন কোনো বিশেষজ্ঞ নেই। আমরা উদ্যোক্তারাই একদিন বিশেষজ্ঞ হব। একজন উদ্যোক্তাকে ব্যর্থতার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হয়। আপনারা বলেন, আলিবাবা একটা সফল প্রতিষ্ঠান। আমরা কিন্তু বলি না। আলিবাবা শুরু হয়েছে ১৯৯৯ সালে। ১০২ বছর টিকে থাকার প্রত্যয় নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম। মাত্র ১৯ বছর পেরিয়েছি। আরও তো ৮৩ বছর বাকি। আমরা কখনোই বলি না, আমরা সফল। বরং বলি, আমরা মাত্র ১৯টা বছর পার করেছি। আমরা সৌভাগ্যবান। গত ১৯ বছরে আমরা কিন্তু হাজারো ভুলও করেছি। উদ্যোক্তা হিসেবে অন্যের সাফল্য থেকে শিখবেন না। বরং তাঁদের ব্যর্থতা থেকে শিখুন।

এমবিএ পড়তে গেলে তারা আপনাকে অনেক সাফল্যের গল্প পড়াবে। এত এত সাফল্যের গল্প পড়েই বুঝি আপনিও সফল হয়ে যাবেন? না। এমন অনেক কিছু আছে, যা আপনি জানেন না। ভুল থেকে শিখুন। যত প্রতিষ্ঠানে আমি গিয়েছি, দেখেছি অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ভুলগুলো একই। কিন্তু আপনি যদি সাফল্যের কারণ খোঁজেন, দেখবেন একেকজনের সাফল্যের পেছনের কারণ একেক রকম। আমি বলছি না, ভুলগুলো সম্পর্কে জানলে আপনি ভুল করবেন না। বরং আপনি জানবেন, কীভাবে এই ভুলগুলোর মোকাবিলা করতে হয়।

একজন উদ্যোক্তা এক দিকে যেমন কঠিন হৃদয়ে তাঁর ভুল, সমস্যা, কঠিন সময়ের মোকাবিলা করবেন; অন্যদিকে তাঁকেই কোমল হৃদয়ে সহকর্মী ও গ্রাহকদের সামনে দাঁড়াতে হবে। একটা মূল্যবোধের জায়গায় আলিবাবা অনন্য। আমি মনে করি, সারা বিশ্বেরই এই মূল্যবোধটা অনুসরণ করা উচিত। আমাদের কাছে গ্রাহকের অগ্রাধিকার সবার ওপরে। তারপর কর্মী, তারপর ব্যবসায়িক ভাগীদার। অনেকেই কিন্তু ব্যবসায়িক ভাগীদারদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। মনে রাখবেন, গ্রাহকেরাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি তাঁদের ভালো সেবা দিতে পারেন, তাঁরা আপনাকে টাকা দেবেন। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রতিষ্ঠানের কর্মী। কেন? কারণ, কর্মীরাই তো গ্রাহককে সেবা দেবেন! যদি গ্রাহক খুশি থাকেন, কর্মীরা খুশি থাকেন, তাহলে ব্যবসায়িক ভাগীদারেরাও খুশি থাকবেন।

দ্বিতীয় আরেকটা মূল্যবোধ আমাদের আছে। সেটা হলো, আমরা সব সময় পরিবর্তনকে স্বাগত জানাই। পরিবর্তনের মধ্যে থাকাই হলো টিকে থাকার সবচেয়ে ভালো উপায়। আমরা কখনো আমাদের স্বপ্নটা বদলাইনি। বরং নিজেকে বদলেছি। অতএব আফ্রিকার উদ্যোক্তাদের আমি বলব, শুধু নিজের দেশের কথা ভাববেন না। শুধু আফ্রিকার কথা ভাববেন না। পুরো বিশ্বকে নিয়ে ভাবুন। নিজের দেশ নিয়ে ভাবা আর শুধু নিজের গ্রাম নিয়ে ভাবা একই কথা। ইন্টারনেট পুরো বিশ্বটাকে সংযুক্ত করেছে। সুযোগটা কাজে লাগান।

এই মহাদেশের মানুষ খুব সহজ-সরল। যদি ইউরোপে যান, দেখবেন মানুষগুলো ভীষণ জটিল। তাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। নিরাপত্তা, গোপনীয়তা, এটা, সেটা...নানা কিছু! ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান শুরু করার আগেই তারা একগাদা নিয়মকানুন দাঁড় করিয়ে ফেলে। কিন্তু এখানে? আপনাদের তো হারানোর কিছু নেই। এ কথা মনে রাখবেন। (সংক্ষেপিত)



Sunday, 27 January 2019

আমার জম্মভুমি রাঙ্গুনিয়া সরফভাটার ইতিহাস

আমার জম্মভুমি রাঙ্গুনিয়া সরফ ভাটা আদি নাম ভাটির চর।সরফ  ফার্সি শব্দ।বাংলা  অর্থে মদ।অর্থাথ সরাফের ভাটি।পুড়ামুড়া বা রোয়াং মুড়া ভিন্ন অর্থে রোসাং রাজার পাহাড়।তুরস্কের বংশোদ্ভুত রোসাং রাজা আরকান রাজ্যে সরফ ভাটা ইসকুল পাহাড়ে  চাকমা রাজার অনুমতি নিয়ে স্বীয় রাজত্ব শুরু করেন।সপ্তদশ শতাব্দীতে রেসাং রাজা ইউরোপে সরফ ভাটার উৎপাদিত চোলাইি মদ রপ্তানি করে বিশাল বাজার দখল করে।চট্রগ্রাম বন্দরে মদ রপ্তানি শুল্ক দিয়েছে রোসাং রাজা।সরফ ভাটার পাহাড়টি ঢোরাকাটা স্হাপত্য নির্দশন ভারতীয় স্হাপত্যশৈলীর এক অসাধারন গাথু্নি।পাহাড়ের পশ্চিমে সুবিশাল সিঁড়ি দিয়ে রাজা কর্ণফুলী নদীতে জাহাজে করে ভারত তথা ইউরোপে গমন করতেন।সিঁড়ির ধংসাবেশ মাটি ১০ ফুট গভীরে এখনো বিদ্যমান।কবি আলাওল পাহাড়ের পাদদেশে পহেলা বৈশাখে কবি গানের আসরে আসতেন।পদ্মাবতী কবিতায় কবি সরফ ভাটা কে নিয়ে বর্ননা করেছেন দক্কিনের এক পুরী স্বর্গের অবতরি,সরফ নাম তার।শাহ সুলতান তুখলঘি সরফ ভাটা কিছুদিন শাসন করেন।তবে হযরত শেফায়েত উল্লাহ শাহ (ভালুকিয়া শাহ)ছয়শত বছর আগে পবিএ মক্কা নগরী থেকে মিরের খীল নামক এলাকায় পাহাড় শীর্ষে গভীর জংগলে আগমন করেন।ইসলাম প্রচারে তিনি  এ অঞ্চলে প্রথম ব্যক্তি বলে ইতিহাসে প্রতীয়মান হয়।সরফ ভাটায় মজুরী পাড়া রয়েছে যাহা রোসাই পাড়া হিসাবে রোসাং রাজার শ্রমিক হিসাবে কারখানায়  কর্মরত ছিল।কর্ণফুলীতে কুড়িয়ে পাওয়া কষ্টিপাথরেরর মূর্তি রোসাংরাজার বলে ইতিহাসবিদরা মনেকরেন।বর্তমানে মূর্তিটি বেতাগিতে বৌদ্দ মন্দিরে সংরক্ষকন আছে।সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমদ চৌধুরী সরফ ভাটা ইসকুলের পাহাড়ে অবকাঠামো নির্মানে তাম্র শিল্প,সোনার হরিন,ঢাল তলোয়ার যা মগি ভাষায় লিপিবদ্ধ  কিছু প্রত্ন সম্পদ উৎখনন করেন এবং পরিষদে সংরক্ষণ  ছিল ১৯৬১ সালে।সরফ ভাটার কোন কোন এলাকায় নূলকূপ স্হাপনে মাটির গভীরে জীবাশ্ম  পাওয়া গেছে যা প্রতিয়মান এটি প্রবাহমান নদী বা চরান্চল ছিল।তবে এখনো স্হানভেদে লবনাক্ত পানির সন্ধান পাওয়া যায় খয়রাতি বিলে  গভীর নলকূপে চাষাবাদে।সরফ ভাটার দক্ষিণে বোয়ালখালী সীমান্তপথে আরকান রাজার একটি যুদ্ধ বিগ্রহের সুড়ঙ্গ  বিদ্যমান আছে যা বাড়ুরের গর্ত হিসাবে পরিচিত।এই সুড়ঙ্গে দিল্লির প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে পলাতক হয়ে আসা শাহ সুজাক সুখবিলাস চাকমা রাজার প্রাসাদ থেকে ধরে এনে হত্যা করে আরকান সামন্ত রাজা।(সূএ ড, আহমদ শরিফ)
 শাহ দীঘি, শাহের বিল  , শাহ্ সুলতানের তালুক হিসাবে খ্যাত।সরফ ভাটা মারমা পল্লী( বড় খোলা পাড়া)  রোসাং রাজার মানব কোজন বা সমগোএীয় আদিবাসী বলে ইতিহাস জানান দেয়।তিন দিকে নদী,একদিকে পাহাড়ে ঘেড়া সরফ ভাটা  বিস্তৃত এলাকা  এখন আধুনিক সরফ ভাটায় প্রবেশ করেছে।আদিবাসীদের বৈচিএপূর্ন জীবনধারা অস্মপ্রদায়িক সংস্কৃতির এক নোতন মেলবন্দন সমাজ সংস্কৃতির আবাহ ফুটে উঠে।বড় খোলা আদিবাসী পল্লী এখন পশ্চাদপদ জনপদ নয়।সভ্যতার লালনে বিশ্বের সকল সংবাদ  বড়খোলার বাসিন্দার নখদর্পনে।আগে ঊপজেলা সদরের ঘটনা বহুল সংবাদ  পৌছঁত এক সপ্তাহ পড়ে।আজ মুক্তিযুদ্দের সেকেন্ড ইন্ডিয়া হিসাবে পরিচিত বড় খোলা পাড়া সভ্যতার এক নতুন নিরিখে বিবাহ সহ আদিবাসী সংস্কৃতির লালন হচ্ছে । সরফ ভাটার বৈচিএের মধ্যে ঐক্যের সম্ভবনা চলছে।

কালেকশন এনায়তুর রহিম 

বিদেশ যাওয়ার জন্য ঋন দিচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কিভাবে পাবেন ঋন:



বিদেশ যাওয়ার জন্য ঋন দিচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কিভাবে পাবেন ঋন:

কাগজপত্র ঠিক থাকলে ৩ দিনের মধ্যে ঋণ পাওয়া যায় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে। প্রতিষ্ঠানটি প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। শিগগিরই ব্যাংকিং খাতের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
প্রবাসীরা শুধুমাত্র যে দেশের অর্থনীতিতেই অবদান রাখছেন তা নয়, দেশের গণতন্ত্রেরও অতন্দ্র প্রহরী। কারণ, দেশে যখন অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে প্রবাসীরাই দাবি তোলেন। আর তাদের কথা বিবেচনা করে বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। যা ছিল খুবই সময়োপযোগী পদক্ষেপ। ব্যাংকটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রবাসীদের সহায়তার মাধ্যমে শিগগিরই ব্যাংকটি একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এক সময় এটিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি করা হবে। প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিএম কয়েস সামি “প্রবাসীর দিগন্ত ডটকমের” সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিদেশে গমনেচ্ছু বাংলাদেশি বেকার যুবকদের সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। এছাড়া দেশে প্রত্যাবর্তনের পর প্রবাসী বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানে সহায়তাসহ তাদের বিনিয়োগে উৎসাহীতকরণ, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত ও ব্যয়সাশ্রয়ী পন্থায় সহজে রেমিট্যান্স প্রেরণে সহায়তা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ৩টি বিষয়কে প্রধান্য দিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রথমত বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে জামানতবিহীন ঋণ দেয়া, দ্বিতীয়ত বিদেশ থেকে আসার পর তাদের শহরমুখী না হয়ে গ্রামাঞ্চলে উন্নয়নে অবদান রাখতে পরিবেশবান্ধব ঋণ দেয়া। এছাড়া উৎপাদন খাতেও ঋণ দেয়া হয়। তৃতীয়ত: সহজ উপায়ে রেমিট্যান্স আনার বিষয়ে কাজ করে প্রবসাী কল্যাণ ব্যাংক। বিশেষ করে প্রথম ২টি বিষয়ে পুরোদমে কাজ চলছে।

কয়েস সামি বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই সব বিভাগীয় পর্যায়ে শাখা খোলার কাজ শেষ হবে। সহজ উপায়ে রেমিট্যান্স আনার বিষয়ে শিগগিরই সৌদি আরব, দুবাই, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে একক বা যৌথভাবে অফিস খোলার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

গত মাসে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমছে এটি অপপ্রচার। রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়াতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। পুঁজিবাজারে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য অর্থমন্ত্রণালয় এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) অনুমোদনের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

এমডি বলেন, বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা এবং শেয়ারের ফেস ভ্যালু ১০০ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৫ কোটি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর ফেস ভ্যালু হবে ১০ টাকা। একই সঙ্গে ব্যাংকটির শেয়ার সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০ কোটিতে। ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। যার মধ্যে প্রাথমিকভাবে সরকার দিয়েছে ৫ কোটি এবং প্রবাসীকল্যাণ তহবিল থেকে দেয়া হয়েছে ৯৫ কোটি টাকা।

বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছে থাকার পরেও অনেকেই জানেন না প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে এই ঋন সেবা মানুষ পেতে পারেন। এ জন্য জেলা পর্যায়ের শাখাগুলোতে লিফলেট বিতরন এবং স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে বিজ্ঞাপনও দেয়া হয় বলে জানালেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।

অভিবাসী ঋণ প্রদান

অভিবাসন ঋণ / মাইগ্রেশন লোন
অভিবাসন ঋণ প্রাপ্তির প্রাথমিক যোগ্যতাঃ
 0১. আপনার ঘনিষ্ঠ আত্বীয় বা নিয়োগ কর্তার মাধ্যমে যদি আপনি বিদেশে চাকুরীর জন্য ভিসা লাভ করে থাকেন।
 আবেদনকারীকে নিয়োগকারী/ব্যক্তিগত ভাবে সংগৃহীত ভিসার ০২ কপি (ভিসা যাচাইয়ের জন্য) ফটোকপি ও মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে। উক্ত ভিসা ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে যাচাই করে আবেদনকারীকে ব্যাংক হতে ফোন / এস.এম.এস-এর মাধ্যমে জানানো হবে।
 0২. আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার ঘনিষ্ঠ জন ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
 0৩. অভিবাসন ঋণ গ্রহণের জন্য জামিনদারের অবশ্যই আর্থিক সচ্ছলতা থাকতে হবে।
 0৪. ভিসা যাচাইয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে নিম্মে বর্ণিত কাগজপত্রসহ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে।


ভিসা সঠিক পাওয়ার পরবর্তী করণীয়ঃ
0১. অভিবাসন ঋণ গ্রহণের নিমিত্তে আবেদন ফর্ম প্রাপ্তির পূর্বে ব্যবস্থাপনা পরিচালক / ব্যবস্থাপক-এর বরাবর আবেদন করতে হবে।
0২.  নমুনা অনুযায়ী আবেদন করার পরে অভিবাসন ঋণের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
 0৩. আবেদনকারীর সদ্য তোলা ০৩ (তিন) কপি সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি,পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি,বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
0৪. আবেদনকারীর জামিনদারদের প্রত্যেকের সদ্য তোলা ০২ কপি করে সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা / ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
0৫. অভিবাসন ঋণ গ্রহণকালে কর্মীকে সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে।
0৬. অভিবাসী কর্তৃক আয়কৃত সমুদয় রেমিটেন্স উক্ত সঞ্চয়ী হিসাবের মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করতে হবে।
0৭.  অভিবাসন ঋণ গ্রহণকালে কর্মীকে বীমা সুবিধা নিতে হবে।
 0৮. জামিনদারদের যে কোন এক জনের ব্যাংক একাউন্টের চেক এর ০৩টি পাতা (চেক MICR হতে হবে ) প্রদান করতে হবে।
0৯. আবেদনকারীকে দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত ভিসা ও লেবার কন্ট্রাক্ট (যেখানে প্রাপ্ত বেতন ভাতাদির উল্লেখ রয়েছে) এর ফটোকপি (০২ কপি) এবং স্থানীয় ভাষায় অনুবাদকৃত ভিসার ফটোকপি কপি (প্রয়োজন সাপেক্ষে) এবং ভিসার যথার্থতা বিষয়ে বিএমইটি/বোয়েসেলের প্রত্যায়ন ।
১০. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এর সত্যায়িত ফটোকপি (যদি থাকে) প্রদান করতে হবে।
১১. শারীরিক যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে ।
১২. অভিবাসন ব্যয়ের বিবরণী সাদা কাগজে লিখিত।
১৩. আবেদনকারীর বিদেশের কর্মস্থলের ঠিকানা, টেলিফোন নং / ই-মেইল ঠিকানা ইত্যাদি (যদি সম্ভব হয়)।
BMET কর্তৃক ইস্যুকৃত ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডের উভয় পিঠের সত্যায়িত ফটোকপি ।
১৪. কর্ম অভিজ্ঞতার সনদ ।
১৫. যে এজেন্সীর মাধ্যমে বিদেশে যাবেন অথবা বিমান টিকেট ক্রয় করবেন সে এজেন্সী কর্তৃক সম্ভাব্য যাত্রার তারিখ সহ প্রত্যায়ন।
১৬. বিমান টিকেটের ফটোকপি। (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১৭. ঋণ ফেরত প্রদানের হলফনামা।

অভিবাসন ঋণ পরিশোধের চার্জ ও নিয়মাবলীঃ
0১. অভিবাসন ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার মাত্র শতকরা ০৯ টাকা।
0২. পরিশোধের দিন হতে সর্বোচ্চ ০২(দুই) মাস গ্রেস পিরিয়ড প্রদান করা হয়।
 0৩. দেশ ভেদে প্রাপ্ত ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ০২ বছর (২২ টি মাসিক কিস্তিতে গৃহীত ঋণ পরিশোধ করতে হবে)। যেমনঃ সৌদিআরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত,বাহারাইন, মরিশাস , ব্রুনাই, কাতার, ইতালি, ইউরোপ, ইত্যাদি।
0৪. সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে ১০ কিস্তিতে ০১ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

রাউজান শাখা (রাংগুনীয়া সকলের জন্যে রাউজান শাখা)

জনাব রত্নেশ্বর বালা

ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত)

চট্টগ্রাম রাউজান উপজেলা কমপ্লেক্স, হোল্ডিং নং-০৪৪৫৫/০০, থানাঃ রাউজান, চট্টগ্রাম।

মোবাইলঃ +৮৮-০১৯৫৯-৬৪৭৬২৩

E-mail: pkb.raozan@gmail.com



পূর্ব সরফভাটা তরুণ সংঘ এর ক্যালেন্ডার ২০১৯

পূর্ব সরফভাটা তরুণ সংঘ এর ক্যালেন্ডার ২০১৯     

Saturday, 26 January 2019

আমাদের সরফভাটা ইউনিয়ন সম্পর্কে।



সরফভাটা ইউনিয়ন

চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন

সরফভাটা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।

সরফভাটাইউনিয়ন৮নং সরফভাটা ইউনিয়ন পরিষদ

বাংলাদেশে সরফভাটা ইউনিয়নের অবস্থানস্থানাঙ্ক: ২২°২৫′৫০″ উত্তর ৯২°২′৭″ পূর্ব
দেশ
 বাংলাদেশ বিভাগ চট্টগ্রাম বিভাগ জেলা৷ চট্টগ্রাম জেলাউপজেলারাঙ্গুনিয়া উপজেলা
সরকার • চেয়ারম্যানশেখ ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী।
আয়তন • মোট২৬.০২ কিমি২(১০.০৫ বর্গমাইল)জনসংখ্যা. (২০১১) • মোট৫৫,৪৮৬ • জনঘনত্ব২১০০/কিমি২ (৫৫০০/বর্গমাইল)
স্বাক্ষরতার হার • মোট৪৫.১২%সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৪৩৬০


আয়তনসম্পাদনা

সরফভাটা ইউনিয়নের আয়তন ৬৪২৯ একর (২৬.০২ বর্গ কিলোমিটার)।

জনসংখ্যাসম্পাদনা

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সরফভাটা ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ৫৫,৪৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৭,৫৪২ জন এবং মহিলা ২৭,৯৪৪ জন।

অবস্থান ও সীমানাসম্পাদনা

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণাংশে সরফভাটা ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের পূর্বে শিলক ইউনিয়ন ও পদুয়া ইউনিয়ন; উত্তরে কর্ণফুলি নদী ও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা; পশ্চিমে কর্ণফুলি নদী ও বেতাগী ইউনিয়ন, বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়ন ও আমুচিয়া ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে বোয়ালখালী উপজেলারআহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন অবস্থিত।

প্রশাসনিক কাঠামোসম্পাদনা

সরফভাটা ইউনিয়ন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আওতাধীন ৮নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৮৪নং নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৭এর অংশ। এটি সরফভাটা ও জঙ্গল সরফভাটা এ ২টি মৌজায় বিভক্ত।

ওয়ার্ডভিত্তিক এ ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল:

ওয়ার্ড নংগ্রামের নাম১নং ওয়ার্ডজঙ্গল সরফভাটা, মীরেরখীল, দক্ষিণ সরফভাটা২নং ওয়ার্ডহাজারীখীল, মৌলানা গ্রাম, পশ্চিম সরফভাটা৩নং ওয়ার্ডপশ্চিম সরফভাটা৪নং ওয়ার্ডমধ্যম সরফভাটা, ছৈয়দুরখীল, ক্যইদের কুল৫নং ওয়ার্ডউত্তর পাড়া৬নং ওয়ার্ডমজুরী পাড়া, হাসপাতাল পাড়া, সিপাহী পাড়া, দক্ষিণ পাড়া, গুচ্ছ গ্রাম৭নং ওয়ার্ডভূমিরখীল৮নং ওয়ার্ডপূর্ব সরফভাটা, সিকদার পাড়া, রূপনগর৯নং ওয়ার্ডপূর্ব সরফভাটা


শিক্ষা ব্যবস্থাসম্পাদনা

সরফভাটা ইউনিয়নের স্বাক্ষরতার হার ৪৫.১২%।এ ইউনিয়নে ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি মাদ্রাসা, ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৮টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসম্পাদনা

মাধ্যমিক বিদ্যালয়পশ্চিম সরফভাটা মীরেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়পূর্ব সরফভাটা আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়সরফভাটা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়

মাদ্রাসাহযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) দাখিল মাদ্রাসানেছারিয়া তৈয়্যবিয়া সুন্নিয়া অর্নাস মাদ্রাসাজামেয়া মেহেরিয়া মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসাসরফভাটা মুয়াবিনুল ইসলাম মাদ্রাসা

নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ.) কেজি স্কুলপ্রাথমিক বিদ্যালয়জঙ্গল সরফভাটা বড়খোলা মগাপাড়া রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়জঙ্গল সরফভাটা হাজী ছবিউল রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়পশ্চিম সরফভাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়পূর্ব সরফভাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ভূমিরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়মীরেরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সফরভাটা আশ্রয়ন প্রকল্প রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সরফভাটা ছৈয়দুরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সরফভাটা ফজর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সরফভাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সরফভাটা সিপাহীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সরফভাটা সৈয়দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সুচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

কিন্ডারগার্টেনআল্লামা ইকবাল একাডেমীআশরাফুল উলুম নূরানী কিন্ডারগার্টেনকাজী নজরুল ইসলাম কিন্ডারগার্টেনসরফভাটা মডেল কেজি স্কুলহযরত আলী হায়দার ইনস্টিটিউটহযরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) কিন্ডারগার্টেনহাজী ইসমাঈল সিকদার কিন্ডারগার্টেনহালিমা আলী কিন্ডারগার্টেন

যোগাযোগ ব্যবস্থাসম্পাদনা

সরফভাটা ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। কাপ্তাই সড়ক হতে গোডাউন ব্রীজ হয়ে সরফভাটা শিলক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়াতে কোদালা, পদুয়া, পার্বত্য বান্দরবান জেলা এবং বোয়ালখালী উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত।

ভাষা ও সংস্কৃতিসম্পাদনা

চট্টগ্রাম জেলার অন্যান্য অঞ্চলের মত সরফভাটা ইউনিয়নের লোকেরাও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। এছাড়াও জঙ্গল সরফভাটা অঞ্চলে বসবাসরত উপজাতিরা তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলে।

খাল ও নদীসম্পাদনা

সরফভাটা ইউনিয়নের উত্তর ও পশ্চিম পাশ দিয়ে কর্ণফুলি নদী বয়ে চলেছে। এছাড়াও সরফভাটা-শিলক সীমান্ত দিয়ে শিলক খাল এবং জঙ্গল সরফভাটা অঞ্চল দিয়ে চিড়িঙ্গা খাল বয়ে চলেছে।

হাট-বাজারসম্পাদনা

সরফভাটা ইউনিয়নের প্রধান হাট/বাজার হল ক্ষেত্রবাজার। এছাড়াও বিভিন্ন লোকালয়ে নিয়মিত বাজার বসে।

দর্শনীয় স্থানসম্পাদনা

সরফভাটা বড়খোলা পাড়া

কাপ্তাই সড়কের গোডাউন নেমে দক্ষিণে ২য় কর্ণফুলি সেতু হয়ে ইউনিয়নের সর্ব-দক্ষিণে জঙ্গল সরফভাটা অঞ্চলে অবস্থিত।

সরফভাটা আশ্রয়ন কেন্দ্র

কাপ্তাই সড়ক হতে সিএনজি বা অন্যান্য গাড়ী যোগে যাওয়া যায়।

কৃতী ব্যক্তিত্বসম্পাদনা

আলী আহমদ চৌধুরী –– ভাষা সৈনিক।
এ এ রেজাউল করিম চৌধুরী –– শিক্ষাবিদ।ছাদেক চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ।
নেছার উল্লাহ শাহ –– সুফি সাধক।

জনপ্রতিনিধিসম্পাদনা

বর্তমান চেয়ারম্যান: শেখ ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী চেয়ারম্যানগণের তালিকাক্রম নংচেয়ারম্যানের নামসময়কাল
০১.আবুল কালাম চৌধুরী (প্রেসিডেন্ট)
০২.আলী আহমদ চৌধুরী (প্রেসিডেন্ট)
০৩.তোফায়েল আহমদ চৌধুরী (প্রেসিডেন্ট)
০৪.আহমদ কবির তালুকদার
১৯৬৪-১৯৭১০৫আলী আহমদ চৌধুরী
১৯৭২-১৯৭৪০৬ছৈয়দ আহমদ সওদাগর
১৯৭৫-১৯৮২০৭বদিউল আলম সওদাগর
১৯৮৩-১৯৮৬০৮সিরাজ দৌল্লাহ চৌধুরী
১৯৮৭-১৯৮৮০৯শাহ আলম সওদাগর
১৯৮৯-১৯৯৩১০মোহাম্মদ আলী চৌধুরী
১৯৯৩-১৯৯৮১১ফজলুল কাদের চৌধুরী
১৯৯৯-২০০৪১২আলমগীর চৌধুরী
২০০৪-২০১১১৩এম মুজিবুল ইসলাম সরফী
২০১১-২০১৬১৪শেখ ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী২০১৬-বর্তমান

পূর্ব সরফভাটা ইসলামী তরুণ সংঘ এর উদ্যোগে শিক্ষা সফরে কিছু গ্রুপ ছবি 2019



পূর্ব সরফভাটা ইসলামী তরুণ সংঘ এর উদ্যোগে শিক্ষা সফরে কিছু গ্রুপ ছবি 2019

পূর্ব সরফভাটা ইসলামী তরুণ সংঘ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর কিছু ছবি









পূর্ব সরফভাটা ইসলামী তরুণ সংঘ এর উদ্যোগে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর কিছু ছবি 2019

পূর্ব সরফভাটা তরুণ সংঘ এর মাহফিলের কিছু ছবি





পূর্ব সরফভাটা ইসলামী তরুণ সংঘ এর মাহফিলের কিছু ছবি

পূর্ব সরফভাটা ইসলামী তরুণ সংঘ এর উদ্যোগে ইসলামী মহাসম্মেলন

পূর্ব সরফভাটা ইসলামী তরুণ সংঘ এর ইসলামী মহাসম্মেলন ১০১৭ অনুষ্ঠিত হয়     

পূর্ব সরফভাটা ইসলামী তরুণ সংঘ এর উদ্যোগে ইসলামী মহাসম্মেলন

পূর্ব সরফভাটা ইসলামী তরুণ সংঘ উদ্যোগে ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬

পূর্ব সরফভাটা তরুণ সংঘের জার্সি

পূর্ব সরফভাটা তরুণ সংঘের অফিসিয়াল জার্সি   

পূর্ব সরফভাটা তরুণ সংঘের পতাকা

পূর্ব সরফভাটা তরুণ সংঘের পতাকা   

পূর্ব সরফভাটা তরুণ সংঘ লোগো


পূর্ব সরফভাটা তরুণ সংঘ লোগো     

পূর্ব সরফভাটা ইসলামী তরুণ সংঘ এরিয়া ম্যাপ

পূর্ব সরফভাটা তরুণ সংঘ ক্লাবটি কাভারেজ এরিয়ার ম্যাপ